Wednesday, March 23, 2016

স্মৃতিচারণ...........কাব্যময়....



যতদুর স্মৃতিচারণ করে মনে পড়ে,সময়টা ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ সালের 
কোন একদিন
কিউট ফুঁটফুঁটে আদুঁরে একখান শিশু ছিলাম তখন আমি।আব্বা বাজারে যাওয়ার সময়ই লাফালাফি শুরু করে দিতাম।বাজারের ব্যাগ টেনে দরতাম আমি যাবো বলে কান্না জুড়ে দিতাম।একেই শিশু তার উপর আদুঁরে আব্বা মানা করেও হ্যাঁ সূচঁক সায় দিয়া হাসি মুখে রায় দিত-চল !


আব্বার আঙ্গুলে ধরে হেলে দুলে বেড়িয়ে পরতাম
বাজারটার নাম (ক্যাম্পের) বাজার নামেই পরিচিত এবং এখনো এই নামেই আছে
বাসার সামনে থেকেই একটা ময়দানের মতই বিশাল একটা খেলার মাঠ (বালু মাঠ) যা এখন বিশাল অট্রালিকায় পরিপূর্ন।দুই কাঠা পরিমাণ জায়গাও খেলার স্থান নেই

যাহোকঃ
তো মাঠে তখন এক পাশে একটা পুকুর ছিলো মাগুর মাছের চাষ হতো গরুর ভূড়িঁতে ভরা থাকতো।মাছগুলো খাইখাই আর কিলবিল করতো।আর প্রায় ফুট খানিক লম্বা কোথাও তারও বড় ঘাসে মাঠর চারপাশ ভরা ছিলো।মাঠের দুয়েক পাশে ড্রেন(কাচাঁ) ছিল আব্বা আমাকে নিয়ে ড্রেন এর পাশ দিয়ে হেটেঁ নিয়ে যাচ্ছিলো মাঠের দক্ষিন পাশ দিয়ে তারই কয়েক গজ দুরে দুটো পাচঁতলা বিল্ডিং একটা বিল্ডিং লাল রংয়ের তার সাথেই কয়েকটা নাড়িকেল গাছ।আমরা বাড়িটার প্রায় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম আর তখনই ঘটলো আচমকা হতবাক করা সেই ঘটনাটি


আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের তিন বা চার ফুট ঠিক সামনেই ধপাশ করেই একটা কি যেনো পরলো।থমকে গেলাম দুজনই।কয়েক সেকেন্ড পার হতেই বুঝলাম একটা সদ্যজাত শিশু বাচ্চা এবং এটাযে বাড়ির মধ্য থেকো ছুড়েঁ ফেলেছে তাও বুঝলাম।কে একজন আমাদের দেখেই চলে গেলো রুমের ভিতর
আমরা কাছাকাছি যেতেই আরো কিছু ছেলে ছুটে আসলো।আমি ছোট তেমন ঘটনাটা আচঁ করতে পারিনি যা বলছি এখনকার উপলব্ধি মিশিয়ে।আব্বা আমাকে তাকাতে মানা করলো এগিয়ে গিয়ে ছেলেদের সাথে কথা বলছে।ছেলেগুলো সবাই বস্তি আর টোকাই হবে প্রায় সবাই খালি গায়েই ছিলো।দুইটা ছেলে হঠাৎই শিশুটাকে তুলে ছোট একটা গর্ত করে ড্রেনটার পাশেই প্রায় পুঁতে দিলো


ঘটনা আমি বুঝিনা কি হচ্ছে বারবার আমার চোখ লাল বাড়িটার দিকে যাচ্ছিলো।কে যেনো লুকিয়ে আমাদের দেখছে।ছেলে গুলো দোয়া পড়ার মতন কি যে করলো তারপর চলে গেলো


আব্বা আমার হাত ধরে নিয়ে চললো বাজারের দিকে।আমি পিছনে ফিরে বারবার বাড়ি আর সদ্য পুতেঁ ফেলা উচুঁ জায়গাটার পানে তাকাচ্ছিলাম
আব্বা ফিরার পথে অন্য পথে বাসায় নিয়া আসলো আমায়।আব্বাকে খুব চিন্তিত লাগছিলো।আমার কোন প্রশ্নর উত্তর পাইনি।তবে এখন বুঝি।সেদিন কি কারণে কেন এমন হয়েছিলো।পরে শুনতে পেরেছিলাম পুলিশ এসেছিলো


এখন বুঝি তখন কেনো আব্বা অন্য কাউকে বলেনি তখনই কেন পুলিশ ডাকেনিসবই ভয়।অযথা হয়রানি হবে।কাজটা ঠিক ছিলো না বেঠিক ছিলো।সেটা নিয়ে বলার কিছু নেই।এখনকার প্রেক্ষাপটেতো এটাই সহজ স্বাভাবিক ঘটনা

শেষটান :
 
আর কি লিখবো সবাই নিজের বিবেক দিয়ে বুজে নিও।
কি করবে কি করবেনা জীবনে চলার পথে।
তোমরা আধুনিক সমাজে বাস করছো।
সবাই ভালো সাবধানে থেকো
নিজের চোখে দেখা ঘটনাটাই তুলে ধরলাম লেখার অভিপ্রায়ে


Popular Posts

Blog Archive