Sunday, April 3, 2016

 কাব্যময়.......

-আচ্ছা তুমি কই থাকো কইবা আমারে

-কেনো তুমি বুঝি জানোনা

-না জানিনা তো

-মানে কী,আসলেই তুমি জানোনা

-না জানিনা

- বলবো ! কই থাকো

-হুম বলো

- তুমি থাকো আমার ঘুম ভাঙ্গা সকালের কোমল রোদটায় যে রোদ আমার মুখে আলোর ঝর্ণা ঝড়ায় তুমি থাকো আমার সেই আলোটায়।তুমি থাকো আমার একাকীত্ব ঘেরা অস্থীর বিকেল বেলায় গোধূলীর আলো হয়ে আমার নয়নের সীমানায়।তুমি থাকো আমার নিঃশ্বাসের পাহাড়াদার হয়ে এই আমার বুকটায়

 - এই এই তুমি কাদঁছো কেনো আমার তো বলাই শেষ হয়নি

-কি করবো বলো

- না তুমি কাঁদবেনা কোনদিন।এখন বলো কান্নার কি কারন

-এমনি জল এসে গেলো

- দেখো এটা কোন কথানা যা বললাম তার উত্তর দাও

 -ভয়ে আবার সুখে আবার অবাক হয়েও বলতে পারো

- তোমার মাথা তোমারমুন্ডুএকটা তেলাপোকা

-কই কই তেলাপোকা

- এইতো আমি যার হাত ধরে আছি

 -মানে

- জ্বি তোমাকেই তেলাপোকা বললাম

-বাহ্ চমৎকার আপনার দর্শন যুক্তি আমাকে তেলাপোকার মত দেখতে

- নয়তো কি

-আর তুমি তু তু তমি তুমি হইলা একটা

- কি হইলো তোতলাও কেন আমি কি বলো

-না কিছুনা

- আমি কিছুনা

-না না তুমি কিছু

- তাইলে বলো কিছুটা কি বলো বলো

-তুমি একটা সুন্দর রঙ্গীন চঞ্চলা প্রজাপতি

- ওলে বাবালে চো চুইট

-হুম এখনতো সুইট লাগবোই

- লাগবোনা কেন তুমি কইছোনা।তা কথাটা বলো ভয়ে কেন অবাক হয়ে কেন কাদলে সুখের টা না হয় বুঝলাম

-ঐতো অবাক হলাম আমার প্রিয়তমা আমাকে কাব্যিক ছন্দময় করে সুন্দর করে আমাকে নিয়া যে অপূর্ব কথাগুলো বললো সেইটাই আমাকে অবাক করলো।আচ্ছা তুমি এইসব পারলা কেমনে

- ভাইরাস বুঝছো ভাইরাস

-ভাইরাস - কিসের ভাইরাস

- তোমার ভাইরাস এট্যাক করছে আমার মনের হার্ডিডিক্সে।আর আমিও এলোমেলো হইছি কাব্যিক ভাইরাসে

-বাহ বাহ তো এন্ট্রি ভাইরাস লাগবো না

- না লাগবোনা খবরদার এন্ট্রি ভাইরাসদেয়ার চেষ্টা করবানা আমি এতেই ভালো সুন্দর আছি।ভয়ের টা বলো

-যে আমাকে ঘিরে এতকিছু কল্পনা করে।আমাকে এত ভালোবাসে।কবিতা শুনায়।আমার যত্ন নেয়।চাওয়ার আগে সব করে নেয় আমাকে যে তার নিঃশ্বাসের পাহাড়াদার বানায়

- হুম তাতো বুঝলাম তবে ভয়টা কিসের

-সে যদি হারিয়ে যায় দূরে চলে যায় এই কল্পনা স্বপ্নগুলো যদি সত্যই কল্পনাই থেকে যায় তবে কি হবে বলতো।আমি কাকে নিয়া থাকবো।তাই এই ভেবেই ভয় হলো

- আর সুখেরটা

-ঐটাতো তুমি বুঝছোই

- আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম তোমার হাতটা দাওতো

- কি জ্যেতিস হলে কবে

- হাতটা দাও

- হুম এই নাও দিলাম

- এই যে দেখো চারটি হাত এককরলাম।কখনো কোনদিন আমার পক্ষ থেকে আলাদা হওয়ার ভয় আপনি মাথায় আনবেন না দয়া করে।আমি তোমার কাছে দালিলিক চুক্তি করিনি ঠিকি আমি মন থেকে আত্মা থেকে তোমাকে ভালোবাসার জন্য বিশ্বাসক নিয়ে প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয়েছি।যা ছাড়বার নয় ভূলবার নয় ত্যাগ করবার নয়।কখনো কোনকালে মরন ছাড়া

- খুবই সিরিয়াস মনে হচ্ছে তোমায় আজ

- সবসময় সবকিছুকি আর জীবন মরন এর ব্যাপার তো হয়না।জীবনে কিছু ব্যাপার থাকে সিরিয়াস না হলে পস্তাতে হয়।যা আমি চাইনা

- সত্যই আজ আমি ধন্য আমি মুগ্ধ আমার বুকটা আরো প্রসারিত হলো

তোমায় পেয়ে আমি আজ স্বার্থক

- থাক হইছে তেলাপোকা একটা

- আচ্ছা তুমিনা তেলাপোকাকে বিষম ভয় পাও।দেখলেই দুরে পালাও লাফাও।তো আমাকে তো দিব্যি জড়িয়ে ধরছো

- কেনো রাখবোনা তুমি ওই তেলাপোকা নাকি তুমিতো সুইট তেলাপোকা।ওইটা তো বিশ্রী তেলাপোকা

- এই আমার না ক্ষুদা লাগছে

- ওও তাইলে তেলাপোকা খাও

- ইস বিশ্রি ওয়াক

- আরে আমিতো সুইট তেলাপোকাকে খেতে বললাম

- তাই বুঝি হুম দাড়াও খাইতাছি

-বলেই ছেলে উঠে দৌড় দিলো মেয়েটিও পিছনে.......!

হয়তো কোন এক রেষ্টুরেন্টে বসে খাচ্ছে তেলাপোকা নয় মেনু বইয়ে থাকা কোন পছন্দের খাবারআর এভাবেই হাসি আনন্দে ছেলে আর মেয়েটির জীবন কাটছিলো

বন্ধুরা যদি গল্পটি ভালো লেগে থাকে যদি বাকী অংশটুকুও জানার ইচ্ছে হয় তবে কমেন্ট করে জানাও।আর ভালো না লাগলে এখানেই সমাপ্তিধন্যবাদ।।

ভোর ছয়টা বিশ থেকে সাতটা পয়ত্রিঁশ এর মধ্যে লিখাটির সময়কাল।চার।তিন।ষোল


Popular Posts