Kabbomoy
একটি সুন্দর মন অজস্র ফুল বাগানের ফুলের চেয়েও সুন্দর।
Pages - Menu
(Move to ...)
Home
E-BOOK & PDF
আত্মকথা
কবিতা
কবিতাগুল্ম
গানের কথা
ছবিরাজ্য
ছোট গল্প সমূহ
জ্ঞান ও বিজ্ঞান
প্রবাদ বাণী
প্রেমময় গল্প
মহান মানবের জীবনী
রঙ্গময়
স্মৃতিচারণ
▼
Monday, March 21, 2016
ভারপ্রাপ্ত বয়ফ্রেন্ড ও দুই প্লেট চটপটি !
কাব্যময়......
দ্বিতীয় খন্ড:
মেয়েটি
এতক্ষনে
চটপটির
অর্ডার
করেছে
।
দোকানী
মেয়েটির
দিকে
তাকিয়ে
বললো
আপু
ঝাল
দিমু
।
মেয়েটি
:
কি
ভেবেই
যেন
বললো
বেশী
।
বলার
ধরনে
বুঝা
গেল
সে
অপেক্ষার
মানুষটির
উপর
রাগ
থেকেই
ঝাল
বৃদ্ধি
করে
রাগ
প্রতিকার
করার
চেষ্টা
করছে
।
এতক্ষনে
চটপটির
প্লেট
মেয়েটির
হাতে
পৌঁছে
গেছে
।
এবার
আমার
পালা
।
ইতিমধ্যে
দুবার
আমাদের
চার
চোখ
এক
হয়েছে
।
শেষবার
দীর্ঘতম
।
আর
তখনি
তার
মুখের
অবস্থা
টমেটুময়
দেখতে
পাইলাম
বুঝলাম
ঝাল
তার
কার্যক্রম
যথারিতি
আরম্ভ
করেছে
এবং
শতভাগ
সফল
।
রিং
বাজলো
মেয়েটির
ফোনে
চুপচাপ
শুনলো
আর
নিরবে
কলটা
কেটে
দিলো
।
আমার
হাতে
প্লেট
নেই
তাই
মেয়েটির
কান্ডগুলোই
উপভোগ
করছিলাম
।
আমার
প্লেটও
এসে
গেল
।
দু
চামচ
খেয়েছি
।
নিন্ম
চিৎকারে
কে
যেন
বলছে
পানি
পানি
।
স্বাদ
উপভোগ
বাদ
দিয়ে
তাকিয়ে
দেখতে
পেলাম
মেয়েটি
পানি
পানি
করছে
।
দোকানির
জবাব
ছিলো
আপু
একটু
অপেক্ষা
করেন
ফিল্টার
আসতেছে
।
এই
দুরবস্থা
দেখে
খাওয়ার
ভাবনা
উধাও
আমার
।
ব্যাগে
হাতদিয়ে
মামের
বোতলটা
নিয়া
চেয়ারে
প্লেটটা
রেখে
উঠে
গিয়া
মেয়েটির
ঠিক
সামনে
দাড়িয়ে
আনমনেই
তার
প্লেটটি
একহাতে
টেনে
নিয়া
তার
হাতে
মামের
ঠান্ডা
বোতলটি
দিলাম
।
খাচ্ছে
আর
আমার
দিকে
পরম
যত্নে
মায়াভরা
নয়নে
আবেগ
নিয়ে
চেয়ে
চেয়ে
ফিটার
খাওয়া
শিশুর
মতন
তাকা
চ্ছে
।
আমি
যেন
নিজেকে
মেয়েটির
ভারপ্রাপ্ত
বয়ফ্রেন্ড
মনে
করলাম
।
আমার
সেকি
কেয়ার
।
নিজের
ভাত
নাই
পরের
ধনে
পোদ্দারী
।
আমি
দৌড়
দিলাম
খুব
জোড়ে
দোকানী
ও
মেয়েটি
তাকিয়ে
রইলো
।
আমার
অবাক
করা
কান্ড
দেখে
।
দুমিনিটের
মধ্যেই
আবার
ঠিক
মেয়েটির
সামনে
এসে
দাড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে
সদ্য কেনা
পকেট
টিস্যুর
প্যাকেটটি
এগিয়ে
দিলাম
।
তাকিয়ে
আছে
মেয়েটি
আমার
দিকে
।
আর
হয়ত
আমার
জায়গায়
তার
মানুষটি
থাকলে
সে
আরো
কতনা
কমফ্রোর্ট
ফিল
করতো।
আবার
আমিও
ভাবছি
বয়ফ্রেন্ড
থাকলে
কি
সে
বেশী
ঝাল
খেতো
।
খেতনা
।
এটা
আমার
উপরি
পাওনা
।
ঝালের
ঝড়
থেমে
গেছে
মেয়েটিও
শান্ত
এখন
।
মেয়েটিকে
একটু
অপ্রস্তুত
মনে
হচ্ছে
।
তাই
নিজেই
বলে
ফেললাম
।
এখন
কি
অবস্থা
আপনার
।
ঝাল
কি
কমেছে
।
আরও
পানি
লাগবে
।
নরম
করেই
উত্তর
এলো
আপনাকে
অনেক
ধন্যবাদ
।
এর
ফাঁকে
কয়েকজন
চটপটি
ফুচকা
খেয়ে
চলে
গেছে
।
যেন
আমরাই
ফুলটাইম
কাস্টমার
।
মেয়েটি
দাড়িয়ে
গেলো
অতপঃর
আমার
পাশের
চেয়ারে
এসে
বসলো
।
এতক্ষন
চটপটির
গন্ধ
নাকে
লেগে
ছিলো
বলে
মিষ্ট
সুরভীত
গন্ধটা
পাইনি
।
আর
বুঝলাম
পারফিউমটা
মেয়েটির
নিজের
পছন্দে
এবং
নিজের
টাকায়
কেনা
।
আচ্ছা
দেখুননা
আমার
জন্য
আপনার
খাওয়াই
হলোনা
।
ও কিছুনা
ঠিক
আছে
।
মেয়েটির
জড়তা
মনে
হয়
কেটে
গেছে
।
দোকানিকে
ডেকে
বললো
দুই
প্লেট
চটপটি
দিন
।
আমি
কিছুই
বললামনা
।
হয়ত
চটপটির
নেশায়
হয়তবা
পারফিউমের
জন্য
অথবা
এই সময়
কিছু
বলা
ঠিকনা
।
দোকানি
একটু
হাসি
মুখেই
বললো
আপু
ঝাল
কেমন দিমু
।
কথা শুনেই
আমি
এবং
মেয়েটি
উচ্চ
হাসিতে
হাসতে
লাগলাম
।
হাসতে
হাসতেই
মেয়েটি
বললো
কম
আমি
ঝাল
খাইনা
।
আমি
বললাম
এটা
আমি
জানতাম
।
মেয়েটি
কি
করে
জানলেন
।
আপনাকে
দেখেই
মনে
হলো
।
ও
তাই
বুজি
।
হুম
।
তো
আরকি
মনে
হলো
।
আর
মনে
হলো
আপনি
কারো
অপেক্ষায়
ছিলেন
এবং
তার
উপর
রাগ
করেই
ঝাল
বেশী
খেলেন
।
মেয়েটি
-
অবাক
হয়ে
তাকিয়ে
থাকলো
আমার
দিকে
কিছুই
বললোনা
।
তার
মায়াবী
চাহনির
দিকে
তাকিয়ে
হারিয়ে
যাচ্ছিলাম
।
একবার
ভাবছি
চোখ
ফিরিয়ে
নেই
পরক্ষনে
পারছিনা
।
কেনো
এত
ভালোলাগা
আসে
কোথ্কে
আসে
বুঝিনাতো
।
বুঝতেও
চাইলামনা
শুধু
চেয়ে
রইলাম
।
এত
কাছে
এতসুন্দর
হাসি
দেখতে
পাওয়া
কি
কম
ভাগ্যের
।
দোকানি
দুইহাতে
দুই
প্লেট
নিয়ে
সামনে
এসে
মামা
থেকে
এখন
ভাইয়া
বলে
ডাকলো
।
সব
দৃশ্যপট কেমন
জানি
পাল্টে
যাচ্ছে
।
খেতে
আরম্ভ
করলাম
।
স্বাদ
পাচ্ছিনা
।
মেয়েটি
খেতে
খেতে
জিগ্সাসা
করলো
আপনার
নামটা
বলবেন
কি
।
কি
করেন
কোথায়
থাকেন
।
ইম্তু
আমার
ডাকনাম
।
মোঃপুরে
থাকি
।
পড়াশুনা
শেষ
করে
একটা
জব
করছি
।
আমি
জানতে
চাইনি
তবু
নিজ
থেকেই
বললো
।
ইম্মি
আমার
ডাকনাম
।
ধানমন্ডি
পনেরতে
থাকি
।
বিবিএ
পড়ছি
।
দুই
ভাই
একবোন
আমি
বড়
।
খাওয়া
শেষ
করে
প্লেটটা
দিতে
গিয়ে
প্লেটের
নিচে
থাকা
কাগজটা
ভিজে
হাতেই
আটকে
আছে
।
ফেলার
সময়
চোখ
পরলো
বনলতাসেন
কবিতার
পাতা
এটা
।
আনমনে
আবৃততি
করলাম
দুইলাইন
''
চুল
তার
কবেকার
অন্ধকার
বিদিশার
দিশা''
।
বাহ্
ধারুনতো
আবৃত্তি
করেন
আপনি
।
এইযে
দেখুননা
কবিতা
লেখকদের
অবস্থা
।
যারা
মনের
খোরাক
প্রাণের
খোরাকের
জন্য
লিখে
তাদের
জায়গা
কোথায়
।
হুম
এটা
ভালই
বলেছেন
।
তবে
মনে
হচ্ছে
আপনিওলিখালিখি
করেন
।
তাইনা
।
বলতে
পারেন
একপ্রকার
মনের
আনন্দের
জন্যই
মাঝে
মধ্যে
লিখি
।
তৃতীয় খন্ড আসছে.......
‹
›
Home
View web version